বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭

স্বামীর নাম ধরে ডাকা সম্পর্কে ইসলামের বিধান


অনেক স্বামী- স্ত্রী নিজেদের মাঝে অনেক ফ্রি হয়ে চলেন। বিশেষতঃ বর্তমান সময়ে মেয়েরা স্বামীর নাম ধরে ডাকাটাকে আধুনিক একটা ট্রাডিশন মনে করেন । তাই একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করে থাকে। 
প্রশ্ন হল এভাবে একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করার বিষয়ে ইসলামের বিধান কি ?

উত্তর হল-
স্বামী স্ত্রীকে নাম ধরে ডাকতে পারবে এতো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু স্ত্রীর স্বামীর নাম ধরে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে এক প্রকার অসৌজন্যতা, তাই এমনটা করা মাকরূহ বা অনুচিত।
এছাড়া বহু পরিবারে দেখাযায় যে, পরস্পরকে নাম ধরে ডাকাডাকির প্রভাবে ছোট্ট শিশুরাও তাই শিখে এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যায় ।
তাছাড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও পরবর্তীতে সাহাবায়ে কেরামগণ এবং তাঁদের বিবিগনের মাঝে নামধরে ডাকার কোন বর্ণনা পাওয়া যায়নি ।
সূত্র : রহীমিয়া ২-৪১৩

মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭

বিশ্ব নারী দিবস ও আজিকার নারী



ইসমাইল হোসাইন খান


শুভ সকাল, আজ বিশ্ব নারী দিবস । নারীরা মায়ের জাত, তাই শুরুতে সবাইকে সম্মান জানাচ্ছি ।


দুঃখের বিষয়- অধিকার আদায়ের নামে প্রগতি নামের দুর্গতি নেমে এসেছে আজ নারীদের উপর ।


অথচ পবিত্র ইসলাম ১৪০০ বছর পূর্বে যে অধিকার নারীকে দিয়েছে তা কোন ধর্ম বা সমাজ ব্যাবস্থাতেই নেই।

নারী নির্যাতন
বিশ্ব নারী দিবস ও আজিকার নারী




কি দিয়েছে ইসলাম ?
* আর্থিক স্বচ্চলতা-
ক) পাত্রস্থ করার আগ পর্যন্ত বাবা কর্তৃক বরণ-পোষনের সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব, বাবার অবর্তমানে অর্পিত সম্পত্তি থেকে অধিকার ।
খ) মায়ের সম্পত্তির হকদার ।
গ) স্বামী কর্তৃক প্রাপ্ত দেন মোহরের হক, বরণ-পোষনের সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব, স্বামীর অবর্তমানে অর্পিত সম্পত্তি থেকে অধিকার ।
ঘ) স্বামীর অবর্তমানে সন্তানের উপর পড়ে একজন নারীর বরণ-পোষনের সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব, এবং সম্পদের অংশের অধিকার ।


উপরোক্ত বিষয়াদি কয়টি আছে পূরুষের জন্য ?




* নিরাপত্তা -
ক) মুহরেম অর্থাৎ- পিতা, ভাই, ছেলে, দাদা, নানা, মামা, স্বামী, শ্বশুর যাদের সাথে দেখা দেয়া বৈধ যাদের নিকট থেকে শারিরিক নিপিড়নের সম্ভাবনা নেই তারা ব্যতীত অন্য সব পুরুষের সাথে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে । লক্ষ্য করুন এ বিধান লংঘন করেছে যারা তারাই লাঞ্চনার শিকার হয়েছে ।
খ) পর্দা ও মুহরেম পুরুষের পাশে থেকে চাকুরী বা ব্যবসা করার বিধান পবিত্র ইসলাম দিয়েছে । আর এ বিধান লংঘন করেছে যারা তারাই লাঞ্চনার শিকার হয়েছে সব থেকে বেশি ।




আজ কিছু লোক প্রগতির নামে নারীদের রাস্তায় এনে পবিত্র ইসলামের বিধান লংঘন করে নারীদের বিপদে ও বিপথে ঠেলে দিয়েছে । অবুঝ নারীগণ না বুঝেই তাতে সায় দিতে গিয়ে নিজেদেরকে কেবল মাত্র পণ্য বানিয়ে ফেলেছে ।


আবহমান বাংলার ঘরে ঘরে আপনার আমার মায়েরা দাদীরা পবিত্র ইসলামের বিধান মেনে চলার কারণেই পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন অটুট ছিল ।


অথচ কিছু প্রগতীবাদীরা আজ আমাদের বোনদের মিথ্যা বুলি আওড়িয়ে ধোঁকায় ফেলে পবিত্র ইসলামের বিধান থেকে দুরে সরিয়ে এনে কতইনা বিপজ্জনক করে তুলেছে সমাজ ব্যবস্থা, যার প্রভাবে ঘরে ঘরে স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । পতিতালয়ের সংখ্যা ও ভাসমান পতিতাবৃত্তির প্রভাবে মহামারী এইডসের জুঁকি আশংকাজনক হারে বেড়েই চলছে । আদালত গুলোতে নারী নির্যাতনের নামে মামলার পর মামলা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সম্মানীত বিচারকদের ।




হে বোনেরা !
আজ নারী দিবসে অন্তত সচেতন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিন । বদলে ফেলুন নিজেকে । রাঙ্গিয়ে দিন পবিত্র ইসলামের আলোকে নিজের জীবন । সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশ ।