বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

চোর হলো মন্ত্রী || পুরনো দিনের কাহিনী


একবার এক চোরকে সামান্য ম্যানহোলের ঢাকনা চুরির অপরাধে মৃত্যুদন্ড দেয়া হল। তখন সে চোর তার শেষ ইচ্ছা হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ চাইল।
যখন তাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে আসা হলো তখন সে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলল, ‌'স্যার, আপনার সাথে দেখা করতে চাওয়ার একটাই কারণ তা হলো, আমার কাছে এমন একটা গাছের বীজ আছে যে গাছটা মনের সব ইচ্ছা পূরন করতে পারে। আমি আপনার জন্য এই গাছটা রোপণ করে দিয়ে যেতে চাই।




প্রধানমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করল, 'তোমার চারা লাগাতে কত দিন লাগবে?'
চোর উত্তর দিল, 'এইতো স্যার, সাত দিন।'
সাতদিন পর তাকে আবার মন্ত্রিসভায় হাজির করা হল।
একজন জিজ্ঞেস করল, 'তোমার চারার কী খবর?'
চোর বলল, 'আসলে জমি তো রেডি কিন্তু বীজটা পরিপক্ক হতে আরও তিনদিন লাগবে।'
তিনদিন পর তাকে আবার হাজির করা হল।
প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, 'বীজ রেডি তো এবার?'
চোর বলল, 'স্যার জমি বীজ সবই রেডি কিন্তু আমিতো তা রোপণ করতে পারব না।'
প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, 'কেন?'
চোর বলল, 'এটা এমন একজনের হাতে রোপণ করতে হবে যে কোনদিন চুরি করেনি। না হলে এটা কার্যকারিতা হারাবে।'
সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন বীজ রোপন করতে।
অর্থমন্ত্রী কাচুমাচু হয়ে বললেন, 'স্যার, সারা দেশের অর্থ নিয়ে আমার কাজ। এত কাজের মধ্যে দু একটা তো এদিক সেদিক হতেই পারে।'
এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন পরিবহনমন্ত্রীকে।
পরিবহনমন্ত্রী কাচুমাচু হয়ে বললেন, 'স্যার, কত কত গাড়ি ঘোড়া আমার প্রতিনিয়ত অনুমোদন দিতে হয়, এর মাঝে তো দু একটা এদিক সেদিক হতেই পারে।'
এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কাচুমাচু হয়ে বললেন, 'স্যার, এতো দেশের সাথে যোগাযোগ, এতো দেশে যাওয়া আসা, বাণিজ্য লেনদেন এর মধ্যে তো আমারও দু একটা এদিক সেদিক হতেই পারে।'
প্রধানমন্ত্রী এরপর যাকেই বলেন সেই এদিক সেদিকের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যায়।
হঠাৎ সবাই প্রধানমন্ত্রীকে ধরলেন, 'স্যার, আপনিই রোপণ করুন না।'
তখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'তোমাদের তো দায়িত্ব ছোট ছোট, আমি পুরো দেশ চালাই। আমার কি একটু আধটু এদিক সেদিক হতে পারে না!'
তখন সবাই চুপ হয়ে গেল। হঠাৎ একজন বলে উঠলেন, 'তাহলে স্যার, এই লোক তো সামান্য একটা ম্যানহোলের ঢাকনা চোর। একে মৃত্যুদন্ড দেয়া কি ঠিক? একে ছেড়ে দেয়া হোক।'
আরেকজন বললেন, 'না একে ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাহলে সে বাইরে গিয়ে সব ফাস করে দেবে।'
সবাই চিন্তায় পড়ে গেল একে নিয়ে কী করা যায়? তখন একজন বলল, 'স্যার এক কাজ করুন। একে আমাদের মতোই একটা পদ দিয়ে আমাদের সাথে সামিল করে নেন।'
যেই ভাবা সেই কাজ, সেই চোর হয়ে গেল মন্ত্রীসভার সদস্য।




বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

বাংলা সালের উৎপত্তি


আরবী ভাষা থেকে সন শব্দটি আগত। অর্থ – বর্ষ বা বর্ষপঞ্জি, বছরের দিন-ক্ষণের বিবরণ। মোগল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৯) নির্দেশে এবং পণ্ডিত আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজীর গবেষণার ফলে বাংলা সনের উৎপত্তি হয়েছে ৯৯২ হিজরী সন মুতাবিক ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে। আরবী সন বা হিজরী সনের উতপত্তি হয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হিজরতের সময় তথা ৬২২ খৃষ্টাব্দ থেকে। এই সনের শুরু ২০ জুলাই – ৬২২ খৃষ্টাব্দ ধরা হয়েছে। অবশ্য হিজরতের তারিখ ছিলো রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার মুতাবিক ২০ সেপ্টেম্বর – ৬২২ খৃষ্টাব্দ। কিন্তু যেহেতু আরব দেশের নিয়ম অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন ১ মুহাররম থেকে বছর শুরু হয়, তাই সেই বছরের শুরু থেকে হিসাব গণনা করা হয়েছে।


হিজরী সন ছিল চান্দ্র মাসের সাথে সম্পৃক্ত। আর চান্দ্র মাসের তারিখে চন্দ্রের উদয়-অস্ত হিসেবে সৌর মাসের তুলনায় বছরে ১১ দিনের ব্যবধান হয়। কারণ, চান্দ্র বছর হয় ৩৫৪ দিনে আর সৌর বছর হয় ৩৬৫ দিনে। প্রতিবছরের এ ১১ দিনের তফাৎ কয়েক বছরে অনেক ব্যবধান হয়ে ক্রমশ বাড়তে থাকলে সম্রাট আকবর কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ে সমস্যা আঁচ করেন। কেননা, ফসলাদি উৎপন্ন হয় মৌসুমভিত্তিক – যা সৌর মাসের সাথে সম্পৃক্ত। তাই সম্রাট আকবরের নির্দেশে আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী তৎকালীন ৯৬৩ হিজরী সনকে ৯৬৩ বাংলা সনরূপে স্থির করে চান্দ্র বর্ষকে সৌর বর্ষে রূপান্তর করতঃ সৌর বছর ভিত্তিক হিজরী সন তথা প্রচলিত বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি সেই বছরের ১লা বৈশাখ থেকে এ সনের গণনা শুরু করেন। কারণ, ৯৬৩ হিজরী মুতাবিক ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দের ১১ এপ্রিল সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের (১৫৫৬ খৃষ্টাব্দ) বাংলা তারিখ হয় ১ বৈশাখ। এদিক দিয়ে এ সন যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হিজরতের স্মারক, তেমনি এর ১ম তারিখ সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের স্মৃতিবহ। যেহেতু বাংলা সনের ভিত্তি হিজরী সন এবং ৯৬৩ হিজরী থেকে বাংলা সনকে সৌর সনরূপে রূপান্তর করা হয়েছে, আর সে সময় খৃষ্টাব্দ ছিল ১৫৫৬, তাই হিজরী সনের সাথে ৫৯৩ যোগ দিলেই ইংরেজী সনের সাথে তা মিলে যায়। সম্রাট আকবর অবশ্য তার রাজত্বকালের ২৯তম বর্ষে ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে দেশে এই সন চালু করেন। সুতরাং স্মার্তব্য হলো – বাংলা সনের নবযাত্রা ৯৬৩ হিজরীতে – যাকে বাংলা ৯৬৩ সন ধরা হয়েছিল, যা ছিল ১১ এপ্রিল – ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দ। আরো স্মার্তব্য হলো – প্রবর্তিত বাংলা সন ও প্রচলিত হিজরী সন সেই নবপর্যায়ের শুরুলগ্নে এক হলেও প্রতিবছর সৌর মাস ও চান্দ্রমাসের হেরফেরে হিজরী সন বেড়ে বর্তমানে ১৪৩৩ হিজরী হয়েছে, আর বাংলা সন হয়েছে ১৪১৯ সন (১৪ এপ্রিলের পর)। এর কারণ, সৌর ও চান্দ্র বছরের ১১দিনের কম-বেশ। প্রতিবছর চান্দ্র বছর (হিজরী সন) যেহেতু ১১দিন এগিয়ে যায়, সেই হিসেবে সৌর বছর (বাংলা সাল) তার থেকে ১১দিন পিছিয়ে যায়। অবশ্য ইতোপূর্বে এদেশে তিন শ্রেণীর মুখ্য সন প্রচলিত ছিল - ১। চান্দ্র সন : চন্দ্রের বর্ষ পরিক্রমা হিসেবে সাড়ে ২৯ দিনে চান্দ্র মাস হিসাবে চান্দ্রবর্ষ হয় ৩৫৪ দিন ৯ ঘণ্টায়। অবশ্য চন্দ্রের প্রকাশ হিসেবে কোন মাস ৩০ দিনে এবং কোন মাস ২৯ দিনের হয়। ২। সৌর সন : সূর্যের বার্ষিক গতি অনুযায়ী সৌরবর্ষ হয় ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টায়। আর মাস হিসেবে চারমাস ৩০ দিনে এবং সাতমাস ৩১ দিনে হয়, আর এক মাস হয় ২৮ দিনে। তবে সমন্বয়ের জন্য প্রতি ৪র্থ বছরে তাতে ১দিন বাড়িয়ে ২৯ দিনের ধরা হয়। ৩। নক্ষত্র সন : রাশিচক্রের মধ্য দিয়ে সাতাশটি নক্ষত্র পরিক্রমায় সাড়ে ২৯ দিন হয়। আর সাড়ে ২৯কে তিথি হিসাবে ধরলে ৩০x১২=৩৬০ দিনে নক্ষত্র সন হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সব উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এ তিথি বা চান্দ্র দিনের হিসাবে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯৬৮ সনে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে প্রচলিত বাংলা সন এভাবে সংস্কার করা হয় : বৈশাখ থেকে ভাদ্র পাঁচমাস ৩১ দিনে (=৩১x৫=১৫৫ দিন) এবং আশ্বিন থেকে ফাল্গুন ছয়মাস ৩০ দিনে (=৩০x৬=১৮০); আর চৈত্র মাস সাধারণভাবে ৩০ দিনে, তবে অতিবর্ষে ১ দিন বাড়িয়ে ৩১ দিনে ধরা হবে (+৩০=৩৬৫ এবং অতিবর্ষ ৩৬৫+১=৩৬৬)। এটিই বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে। বলা বাহুল্য, ১৫৭৫ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আকবর এদেশের শাসনক্ষমতা গ্রহণ করেন। আর তিনি লক্ষ্য করেন – চান্দ্র সনের হিসাবে বছর ১০/১১ দিন এগিয়ে আসে বলে চাষীদের নির্দিষ্ট দিনে খাজনা দেয়ার এবং চৈত্রের বোরো ফসল, রবি ফসল প্রভৃতি ওঠার ক্ষেত্রে সৌর মাস নির্ভর বাংলা সনের হিসাব এদেশে সুবিধাজনক হবে। এ জন্য তিনি হিজরী সনের ওপর ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। এ জন্য এই আকবরী সনকে ‘ফসলী সন’ও বলা হতো। আর এদেশের ষড়ঋতুর সাথেও এ সন সামঞ্জস্যশীল। তাই এদেশের গ্রাম-গঞ্জে এ সনের ব্যাপক প্রচলন হয়েছে এবং এদেশের মানুষ একে আত্মস্থ করে নিয়েছেন।





শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

পানি ব্রিজ !


ফেসবুকের কল্যাণে অনেকের কাছেই পরিচিত এই ছবিটি৷ এটি মাগডেবুর্গ ওয়াটার ব্রিজ৷
পানির ওপর স্থাপিত এই সেতুর রাস্তাও পানির! অর্থাৎ এই সেতু দিয়ে চলে জাহাজ ৷


সূত্র জানায় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৩ সালে৷ মূলত পণ্যবাহী জাহাজের রুট সংক্ষিপ্ত করতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে৷
পর্যটকদের জন্য দৃষ্টিনন্দন এই সেতু সত্যিই আশ্চার্য জনক ।





বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

বাবরি মসজিদ ধ্বংস : আদভানির বিচার শুরুর আবেদন



অযোধ্যা বাবরি মসজিদ ষড়যন্ত্রে যুক্ত লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিংসহ ষড়যন্ত্রে যুক্ত আরো ১২ বিজেপি নেতা। নতুন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হোক। বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার শুনানি চলাকালীন আবেদন জানাল সিবিআই।


ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, প্রযুক্তিগত কারণে আদভানি ও বাকিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলা রুজু হয়নি। পুরনো ফাইল ঘেঁটে নতুন করে লখনউ আদালতে মামলার যৌথ শুনানি শুরু হোক। মোগল সম্রাট বাবর রাম জন্মভূমিতে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছে বলে দাবি তুলে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ‘‌বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’‌ এবং ‘‌ভারতীয় জনতা পার্টি দু’‌টি সভা করে।’‌


সেখানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। সভার শেষে দলের সদস্যরা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলতে উদ্যত হয়। হাতুড়ি, কুড়ুল নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হয় মোগল সাম্রাজ্যের নিদর্শন বাবরি মসজিদ। ভাঙচুর শুরু হয় অন্য রাজ্যের মসজিদগুলিতেও। এই ঘটনায় ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। মৃত্যু হয় প্রায় ৩০০০ মানুষের। 

হিংসায় মদত দেয়ার অভিযোগে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, অটলবিহারি বাজপেয়ী, বিজয় রাজে সিন্ধিয়া, মুরলী মনোহর জোশীসহ মোট ৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তদন্তের পর মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, বিনয় কাটিয়ারসহ মোট ১২ জনকে অভিযুক্ত করেছিল সিবিআই।

কিন্তু রায়বরেলি আদালতে তারা নিষ্কৃতি পেয়ে যান। কাটিয়ারের যুক্তি ছিল, ‘‌বাবরি মসজিদ ঘটনায় নিয়ে সিবিআই সন্দীহান। মানুষকে তাতিয়ে তুলতে কোনোরকম উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেয়া হয়নি।’‌ 


ভারতের কেন্দ্র সরকারে বিজেপি সরকারের আমলে সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইচ্ছে করে চার্জশিট দিচ্ছে না বলে ২০১৫ সালে আদালতে অভিযোগ জমা পড়ে। ওই বছর ৬ মার্চ সিবিআইকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্জশিট তৈরি করতে নির্দেশ দেয় আদালত।




শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

বাংলাদেশের সামনে ২৮১ রানের চ্যালেঞ্জ


কলম্বোতে বাংলাদেশের সামনে ২৮১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ চেয়েছিল ২৫০ থেকে ২৭৯ রানের মধ্যে তাদের আটকে দিতে। সেটা হয়নি। তবে স্বাগতিক দল খুব বড় স্কোরও করতে পারেনি।
অবশ্য থিসারা পেরেরাকে আরেকটু আগে আটকাতে পারলে আরো ছোট হতে পারতো শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তিনি ৫২ রান করেছেন। এটা শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন মেন্ডিস, ৫৪।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মাশরাফি মর্তুজা। তিনি ৩টি উইকেট নিয়েছেন। আর মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ২টি। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় সফরকারী বাংলাদেশ।


সিরিজের শেষ ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশটিই বহাল রেখেছে টাইগাররা। ফলে একাদশে সুযোগ হয়নি- ইমরুল কায়েস, রুবেল হোসেন, শুভাশিষ রয়, সানজামুল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী ও নুরুল হাসান সোহানের।
তবে দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে একটি পরিবর্তন এনে তৃতীয় ম্যাচের একাদশে সাজিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নুয়ান প্রদীপের পরিবর্তে দলে এসেছেন সেক্কুজে প্রসন্ন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯০ রানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে মাশরাফির দল।
বাংলাদেশ একাদশ : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : উপুল থারাঙ্গা (অধিনায়ক), দানুস্কা গুনাথিলাকা, কুশাল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল (উইকেরক্ষক), আসিলা গুনারত্নে, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, থিসারা পেরেরা, সুরাঙ্গা লাকমল, দিলরুয়ান পেরেরা, নুয়ান কুলাসেকেরা ও সেক্কুজে প্রসন্ন।